Site icon বার্তা প্রকাশ

চীনে নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি,মহামারির শঙ্কা

বার্তা প্রকাশ ডেস্কঃ

কোভিড-১৯ মহামারির পর চীন ও জাপানে দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরইমধ্যে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

চীনের স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর বিভিন্ন পোস্টে বলা হচ্ছে, নতুন এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে হাসপাতাল এবং শ্মশানগুলোতে চাপ বাড়ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ,এইচএমপিভি, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯ সহ একাধিক ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভীড় করেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ।

এদিকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ইতোমধেই চীন সরকার এ বিষয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে, যদিও এটি নিশ্চিত করা যায়নি। তবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

জানা গেছে, হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস যা প্যারামিক্সোভিরিডি পরিবারের অন্তর্গত। এটি ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল এবং এটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে স্বীকৃত,বিশেষত ছোট শিশু,বয়স্ক এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিরা এতে বেশি আক্রান্ত হন।

SARS-CoV-2 (Covid-19) নামে পরিচিত একটি এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে বলা হয়েছে, চীন ইনফ্লুয়েঞ্জা এ,এইচএমপিভি, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯ সহ একাধিক ভাইরাসের বৃদ্ধির সম্মুখীন হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া এবং হোয়াইট লাংয়ে আক্রান্ত শিশুদের চাপ বাড়ছে।

এদিকে,বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বলেছে,তারা অজানা উৎস থেকে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী বাড়ায় ছোট আকারে একটি পর্যবেক্ষণ পরিচালনা করছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি অফিসিয়াল বিবৃতি অনুসারে ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বরের সপ্তাহে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের রোগের সামগ্রিক সংক্রমণের প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ক্যান বিয়াও জানান,শীত ও বসন্তে চীনে মানুষজনকে নানা ধরনের শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তবে চলতি বছরের আক্রন্তের সংখ্যা গত বারের চেয়ে কম হবে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version