সোনারগাঁয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশা,জনজীবনে বিপর্যস্ত। শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ,সোনারগাঁ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের বাড়িচিনিস,গোহাট্টা ও ছোট অর্জুন্দী গ্রামের ভেতর দিয়ে মোগড়াপাড়া বাজার,উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ “সোনারগাঁ সরকারি কলেজ” ও উপজেলার একমাত্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় “মোগরাপাড়া হরিদাস গৌর গোবিন্দ শ্যামসুন্দর স্মৃতি সরকারি বিদ্যায়তন” এছাড়া মোগড়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইব্রাহিম দানেশমান্দের ও মুন্না শাহ্’র দরগাহ এবং কবরস্থানে যাতায়াতের সংযোগ সড়কটি অনেক পুরনো ও ভাঙাচোরা। প্রায় বছর দশক আগে রাস্তাটির সংস্কার কাজ করা হয়েছিলো।
এক দশক চলে গেলেও রাস্তাটির পূর্ণ সংস্কারে এলাকাবাসী দাবী করে আসলেও তা কতৃপক্ষ নজরে নেয়নি।রাস্তার সাথে ড্রেনেজ ব্যবস্থারও বেহাল দশা। সড়কটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। আর এই কারণে অতিবৃষ্টির ফলে রাস্তার মাঝখানে পানি জমে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষ ও শত শত সিএনজি, রিকশা চলাচল করে। শুস্ক মৌসুমেও রাস্তাটি দিয়ে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় সময়ই ঘটছে ছোটখাটো দূর্ঘটনা। ভরা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
এতে পথচারী ও এলাকাবাসী দীর্ঘ ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। রাস্তার পাশে কিছু অংশে শুধু ইট-সিমেন্ট দিয়ে গড়া ড্রেনটি বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে এবং এলাকার ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। সেই কারণে পানি নির্গমনের পথ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই জন্যেই সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর তখন লোকজনকে হাঁটু পানিতে চলাচল করতে হয় ।
বিশেষ করে মসজিদ,মাদ্রাসা ও কবরস্থানে আগত মুসল্লিদের পবিত্রতাও ক্ষুণ্ন হয় নোংরা পানির কারণে। আবার সেই নোংরা পানি ঢুকে যায় সড়কের পাশের বাড়িগুলোতে। এমনই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে চলতি শুস্ক মৌসুমে প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তাটি আর সি সি ঢালাইয়ের মাধ্যমে পূর্ণ নির্মাণ সহ পুরো রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।