অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁয়ের সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব জনাব সাগরিকা নাসরিন, সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল, মনসুর আলী। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মোঃ রাশেদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, খাইরুল আলম,পীর মোহাম্মদ, আমিনুল ইসলাম, খোকন, শাকিল সাইফুল্লাহ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী প্রমুখ।উৎসবের উদ্বোধন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাগরিকা নাসরিন স্যার বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণসহ নানা কারণে এখন আর গ্রামে-গঞ্জে সেভাবে পিঠা উৎসব হয় না। সেই উৎসব এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা আনুষ্ঠানিকতায় হচ্ছে। এটা ভালো দিক। অন্তত এই উৎসবের কারণে আমরা আমাদের গ্রামের সেই পিঠাপুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি, স্বাদ নিতে পারছি। এবারের উৎসবে প্রায় ৬টি স্টলে প্রায় ২০০ পদের পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন এ স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থী ও অভিবাক পিঠাশিল্পীরা। যার মধ্যে রয়েছে—ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, মালপোয়া, মেড়া পিঠা, মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, কুলশি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোকুল পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসফুল পিঠা, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেজপাতা পিঠা, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ছিট পিঠা, পানতোয়া, জামদানি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই, বিবিখানা, চুটকি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, সূর্যমুখী পিঠা, ফুল পিঠা, বিবিয়ানা পিঠা, সেমাই পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পিঠা, নারকেলের ভাজা পুলি, দুধরাজ, ফুলঝুরি পিঠাসহ আরও বাহারি সব নামের পিঠা।প্রধান অতিথি উৎসব শেষে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করে স্কুলের অভিবাবক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।